ঢাকা , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি ব্রিটিশ বিরোধীদলীয় নেতার

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১২-০১-২০২৫ ১০:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-০১-২০২৫ ০১:১০:২৪ অপরাহ্ন
টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি ব্রিটিশ বিরোধীদলীয় নেতার সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
একের পর এক অভিযোগ বের হয়ে আসছে যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী এবং শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। লন্ডনের ফ্ল্যাট থেকে আয় লুকানো, লন্ডনে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট উপহার, ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা এবং অন্তঃসত্ত্বা এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়াসহ বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে পড়েছেন তিনি।

এমনকি ইতিমধ্যে টিউলিপের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্তও নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এই তদন্তের মধ্যেই সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব থেকে টিউলিপকে সরে দাঁড়ানোর কথাও উঠেছে কয়েকটি মহল থেকে। অভিযোগ প্রমাণ হলে টিউলিপকে মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।

এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি জানায়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্তের আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা বলেন: “কেয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।”

পোস্টে তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।” ব্যাডেনোচ বলেন, “সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলি তৈরি করেছে তা মোকাবেলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ নিজেই সেই সমস্যাগুলোর জন্য বিভ্রান্তকর হয়ে উঠেছে।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে তার (টিউলিপ) যোগসূত্র নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।“

সম্প্রতি ড. ইউনূস সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এর পরপরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করলেন। যদিও টিউলিপ শুরু থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তিনি কোন ভুল করেননি বলে জোর দাবি জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে লেখা একটি চিঠিতে টিউলিপ দাবি করেন: “আমি কোনও ভুল করিনি।”অন্যদিকে সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ